বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংস্থা (এএসকেএস) নামে একটি এনজিওর সনদ বাতিলের পরও অবৈধভাবে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে উপজেলার গোসাইবাড়ি শাখা কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। শাখা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এ শাখায় ঋণ কার্যক্রম চালু করা হয়। বর্তমানে শাখাটিতে ৩৯০ জন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ২৬৫ জন সদস্যকে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে এবং নিয়মিত কিস্তি আদায়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এদিকে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর এমআরএ আইন অমান্য করে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংস্থার সনদ বাতিল করে। সংস্থাটির সনদ নম্বর ২১১১২-০০১৫৯-০০৭৬০ বাতিলের পাশাপাশি ২০২৫ সালের ৫ এপ্রিলের মধ্যে সকল সদস্যের সঞ্চয় ও আমানতের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে, এখনো সদস্যদের সঞ্চয় বা আমানতের টাকা ফেরত না দিয়ে অবৈধভাবে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
সংস্থাটির সদস্য ভান্ডারবাড়ি গ্রামের শিল্পী খাতুন, ভুতবাড়ি গ্রামের রুমি খাতুন ও ফাহিমা খাতুন জানান, তারা নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ ও সঞ্চয়ের টাকা জমা দিয়ে আসছেন। তবে কয়েক দিন আগে সংস্থার সনদ বাতিলের বিষয়টি জানতে পেরে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জুয়েল আলম বলেন, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি আমাদের সংস্থার সনদ বাতিল করায় এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছি। পাশাপাশি এমআরএর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং সমাজসেবা ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতিলতা বর্মন বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাবুল ইসলাম 












