আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ অর্গানাইজেশন লিও ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ এ–২ বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ইয়ুথ উইন্টার ক্যাম্প—ঐক্যযাত্রা–২০২৫ আগামী ৮ জানুয়ারি বিকেলে ক্যাম্প ব্রিফিংয়ের মধ্য দিয়ে এ বছরের ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে এবং ১১ জানুয়ারি দুপুরে সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পর্দা নামবে। বগুড়ার রুরাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমি (আরডিএ)-তে অনুষ্ঠিত হবে এই বছরের উইন্টার ক্যাম্প।

১৫ অক্টোবর শনিবার আগারগাঁও লায়ন্স ভবনে অনুষ্ঠিত সেকেন্ড কাউন্সিল মিটিং-এ লায়ন্স ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ এ–২ বাংলাদেশ-এর মাননীয় ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর লায়ন শংকর কুমার রায় মনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ ক্যাম্পের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে লিও জিন্নাহুর রহমান রাকিবের নাম ঘোষণা করেন।

লিও জিন্নাহুর রহমান রাকিব লিও ক্লাব অব বগুড়ার মেম্বার হিসেবে লিও ক্লাবে যুক্ত হন এবং ক্লাবটির সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি লিও ক্লাব অব ঢাকা শাপলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সংগঠনে নেতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, বর্তমানে তিনি ক্লাবের ডিরেক্টর এবং লিও ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ এ–২ বাংলাদেশ-এর রিজিওন ডিরেক্টর (নর্থ বেঙ্গল কো-অর্ডিনেটর) হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।

মানবিক সেবাচেতনায় উজ্জীবিত এই তারুণ্যদীপ্ত যুবক বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের ধামাচামা গ্রামের কৃতি সন্তান।

ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকছে বহুমুখী শিক্ষামূলক, সৃজনশীল ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—

নেতৃত্ব বিকাশমূলক কর্মশালা, টিম বিল্ডিং অ্যাক্টিভিটি ও আউটডোর গেমস, কালচারাল এক্সচেঞ্জ নাইট, ট্যালেন্ট শো ও ক্যাম্পফায়ার, কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাক্টিভিটিজ, মোটিভেশনাল সেশন ও অতিথি বক্তাদের আলোচনা, ফান, নেটওয়ার্কিং ও ভ্রমণসহ নানা আকর্ষণ। ঐক্যযাত্রা ক্যাম্প তরুণদের একটি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি, নেতৃত্বের আত্মবিশ্বাস এবং মানবিকতার চর্চায় নতুন গতি সঞ্চার করবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লিওরা একত্রে অভিজ্ঞতা শেয়ার, নতুন শেখা ও বন্ধুত্ব গড়ার সুযোগ পাবে। তরুণদের সেবামূলক কাজে সম্পৃক্ত করা নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ তৈরি, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতি সম্মান গড়ে তোলা, লিওদের পারস্পরিক বন্ধন আরও শক্তিশালী করা।

এই ক্যাম্পের মাধ্যমে যুবসমাজের নেতৃত্বগুণ বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বিনিময়, সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগরণ এবং ইতিবাচক মানসিকতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন।

ঐক্য, শিক্ষা, সেবার মন্ত্রে উজ্জীবিত এ আয়োজন তরুণদের সামনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে—এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।