বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভারি বর্ষণের কারণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে নদীভাঙন। আকস্মিক ভাঙনে বিলীন হচ্ছে শহড়াবাড়ি ঘাট এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ আশপাশের সমতল ভূমি। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের যমুনা পাড়ের মানুষ।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনা নদীর ভাঙনরোধে ২০০১ সালে শহড়াবাড়ি ও এর এক কিলোমিটার ভাটিতে বানিয়াজান স্পার নির্মাণ করা হয়েছিল। ওই স্পার নির্মাণের ফলে শহড়াবাড়ি ও বানিয়াজান গ্রামের মধ্যবর্তী আবাদি জমি ও জনবসতি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়ে আসছিল।
কিন্তু সাম্প্রতিক ভারি বর্ষণে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল স্রোতের ঘূর্ণিবর্তে নদীর পাড়ে আঘাত হানছে পানি। ফলে শহড়াবাড়ি ঘাট থেকে শিমুরবাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ, হুমকির মুখে পড়েছে বিস্তীর্ণ জনপদ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, যমুনা নদী থেকে প্রতি বছর অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। এখন তারই খেসারত দিচ্ছেন এলাকাবাসী। কয়েকদিন ধরে নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনও তীব্র আকার ধারণ করেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ভাঙনরোধে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
তাদের দাবি, অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ফসলি জমির সঙ্গে ঘরবাড়িও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিটন আলী বলেন, “যমুনা নদীর ভাঙন পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। খুব দ্রুত ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”