০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

ধুনটে ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সরকারি জায়গা থেকে ভূমিহীন পরিবারের বাড়িঘর উচ্ছেদ করে অভৈধভাবে দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহীন আলম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। শাহীন আলম উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের আলতাব আলীর ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে ৮ একর ৭৯ শতাংশ সরকারি সম্পতি ও একটি পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরের পাড়ে ১০টি ভুমিহীন পরিবার বসবাস করতো। এ অবস্থায় তিন বছর আগে বিগত সরকারী দলের নাম ভাঙ্গিয়ে শাহীন আলম ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে পুরো সরকারি সম্পত্তি বেদখল করে। এরপর নির্যাতন চালিয়ে পুকুরের পাড় থেকে ভুমিহীন পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করেছে। শাহীন আলমের নির্যাতনের পরও আজও ৪টি পরিবার পুকুরের পাড়ে বসবাস করছে। এই ৪ পরিবারকে উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া সে পুকুরের পাড় থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করেছে।

বিগত সরকারের সময়ে শাহীন আলমের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ গ্রহন করেনি প্রশাসন। বর্তমানে প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের কারনে পরিবারগুলো ১৯ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তারা শাহীনের কাছ থেকে সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করে ভুমিহীনদের পুনঃবাসনের দাবি করেন।

এ বিষয়ে শাহীন আলম বলেন, আমার বাব-দাদার সম্পতি ভুলক্রমে খাস খতিয়ানভুক্ত হয়েছিল। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজপত্র ঠিক করে জায়গা বুঝে নিয়েছি। অবৈধভাবে কোন সরকারি সম্পতি দখল করা হয়নি। স্থানীয় একটি মহল আমাকে সম্পতি থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা করছেন।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) খায়রুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

ধুনটে ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ

০৯:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সরকারি জায়গা থেকে ভূমিহীন পরিবারের বাড়িঘর উচ্ছেদ করে অভৈধভাবে দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহীন আলম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। শাহীন আলম উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের আলতাব আলীর ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে ৮ একর ৭৯ শতাংশ সরকারি সম্পতি ও একটি পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরের পাড়ে ১০টি ভুমিহীন পরিবার বসবাস করতো। এ অবস্থায় তিন বছর আগে বিগত সরকারী দলের নাম ভাঙ্গিয়ে শাহীন আলম ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে পুরো সরকারি সম্পত্তি বেদখল করে। এরপর নির্যাতন চালিয়ে পুকুরের পাড় থেকে ভুমিহীন পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করেছে। শাহীন আলমের নির্যাতনের পরও আজও ৪টি পরিবার পুকুরের পাড়ে বসবাস করছে। এই ৪ পরিবারকে উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া সে পুকুরের পাড় থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করেছে।

বিগত সরকারের সময়ে শাহীন আলমের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ গ্রহন করেনি প্রশাসন। বর্তমানে প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের কারনে পরিবারগুলো ১৯ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তারা শাহীনের কাছ থেকে সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করে ভুমিহীনদের পুনঃবাসনের দাবি করেন।

এ বিষয়ে শাহীন আলম বলেন, আমার বাব-দাদার সম্পতি ভুলক্রমে খাস খতিয়ানভুক্ত হয়েছিল। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজপত্র ঠিক করে জায়গা বুঝে নিয়েছি। অবৈধভাবে কোন সরকারি সম্পতি দখল করা হয়নি। স্থানীয় একটি মহল আমাকে সম্পতি থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা করছেন।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) খায়রুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।