বগুড়ার ধুনটে দীর্ঘ ৮ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ভাটা পড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন বিজলী আক্তার (২৭) নামে এক গার্মেন্টস কর্মী। প্রেমিক রাজু (৩০) উপজেলার সুলতানহাটা গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে। বর্তমানে প্রেমিক রাজু জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।
রোববার সকাল ৯টা থেকে বিজলী আক্তার বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভেতর খাটের ওপর অনশনে বসেছেন। বিজলী আক্তার একই এলাকার পশ্চিম গুয়াডহরী গ্রামের বেলাল হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রেমিকা বাদি হয়ে রাজু ও তার বাবা-মাসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগে করেছেন। প্রেমিকা ওই বাড়িতে অনশনে বসার পর থেকে রাজুর বাবা ও মাসহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক মাস আগেও মেয়েটি প্রেমিক রাজুর বাড়িতে আসেন। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে বিয়ের আশ্বাসে বিষয়টি মীমাংসা হয়। কিন্তু হঠাৎ তাদের সম্পর্কের মধ্যে ভাটা পড়ায় মেয়েটি প্রেমিকের বাড়িতে ফের অনশনে বসেছেন। এসময় রাজুর বাবা মেয়েটির ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন।
অনশনরত প্রেমিকা বলেন, ঢাকায় একই গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে প্রায় ৮ বছর আগে আমার সঙ্গে রাজুর পরিচয় হয়। পরে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে মাঝে-মধ্যেই দুইজন দেখা করি। এছাড়া বিয়ের কথা বলে একই ঘরে আমরা রাত যাপন করেছি। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে আমার কাছ থেকে কৌশলে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আর বিষয়টি উভয় পরিবারই জানতো।
তিনি বলেন, রাজু ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে সৌদি আরবে চলে যায়। সে বিদেশ থেকে এসে আমাকে বিয়ে করবে বলে। কিন্তু চার মাস থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এখন কোনো উপাই না পেয়ে তার বাড়িতে এসে অনশন করছি। রাজুর পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাদের কারো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ধুনট থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মামনুর রশিদ বলেন, ভুক্তভোগী এক নারী গার্মেন্টস কর্মীর অভিযোগ পেয়েছি। উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।